আইন ও আদালত

বিএনপির আলাল কারাগারে, দুদু রিমান্ডে

39views

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আর দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিনে রাজধানীতে নাশকতার ঘটনায় করা মামলায় সোমবার (৬ নভেম্বর) এই নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার আদালত।

ওই দিন রাজধানীতে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় দুদুর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রমনা মডেল থানায় করা ওই মামলায় তাকে আদালতে হাজির করে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। সোমবার (৬ নভেম্বর) এই আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আর দুদুর আইনজীবী রিমান্ড নামঞ্জুর করে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার জামিন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ডিবি পুলিশ রবিবার (৫ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে ঢাকা থেকে দুদুকে আটক করে।

মামলাসূত্রে জানা গেছে, মহাসমাবেশ শুরুর আগে বিএনপির নেতা-কর্মীরা গত ২৮ অক্টোবর গাছের ডাল ভেঙে ও লাঠি দিয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের নামফলক ও গেটে হামলা চালায়। নেতা-কর্মীরা ভবনের ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ ৫৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় এই মামলা করে পুলিশ।

এদিকে মহাবেশের দিনের ঘটনায় করা এক মামলায় দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ওই দিন অস্ত্র ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় করা মামলায় রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোমবার (৬ নভেম্বর) তাকে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয়। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন থানার উপপরিদর্শক ফরহাদ মাতুব্বর এই আবেদন করেন। আদালতে আলালের আইনজীবী তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাশিদুল ইমলাম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর আদালতে হাজির করে আলালের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন থানার উপপরিদর্শক ফরহাদ মাতুব্বর এই আবেদন কারেন। আর আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করে। তবে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলাসূত্রে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর বিকেলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের উসকানি ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিরা পল্টন থানাধীন পুলিশ ক্যানটিনে ভাঙচুর করে এবং পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ইটপাটকেল মেরে জাদুঘরের গ্লাস ভেঙে ক্ষতিসাধন করে। মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। চানমারী পুলিশ লাইনসের ডিউটি পোস্টে অগ্নিসংযোগসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। জানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পত্তির রক্ষার্থে তাদের নিবৃত করতে গেলে তিন দিক থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন এবং এএসআই এরশাদুল হককে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারধর করে তার পিস্তল ও আট রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

Leave a Reply