রাজনীতি

পুরো জাতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গণহত্যা চালিয়েছে শেখ হাসিনা : শিবির সভাপতি

2views

ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, ‘চব্বিশের আন্দোলনে পুরো জাতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গণহত্যা চালিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। এর সুস্পষ্ট দলিল জাতির কাছে রয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় হলেও ফ্যাসিজমের নগ্ন হস্তক্ষেপ প্রতিনিয়ত প্রকাশ পাচ্ছে।’

আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শিবির সভাপতি বলেন, ‘এক আদর্শিক ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনের স্বপ্ন নিয়ে ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সংগঠনটি নানা ঘাতপ্রতিঘাত, অন্যায় ও জুলুমের মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেছে এবং আজও দৃঢ়ভাবে আদর্শ ও ন্যায়পরায়ণতার পতাকা বহন করে চলেছে।’

 

আওয়ামী সরকারের ফ্যাসিবাদ ও নির্যাতনের সূচনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ২০০৬ সালে লগি-বৈঠা দিয়ে ইসলামী ছাত্রশিবির ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে নিরপরাধ মানুষ হত্যা করে লাশের ওপর পৈশাচিক নৃত্যের মাধ্যমে তাদের জুলুমতন্ত্রের যাত্রা শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে চিরুনি অভিযানের নামে ছাত্রশিবির নিধনের মিশন শুরু হয়। হাজার হাজার ছাত্রশিবির নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়, শত শত ভাইকে হত্যা করা হয় এবং অনেক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়। ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ছাত্র-জনতা এবং সমগ্র জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে এবং অসংখ্য জনতাকে আহত ও পঙ্গু করে দেয়, যার অগণিত প্রমাণ গণমাধ্যমের কাছে রয়েছে।’

মঞ্জুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘জাতির যে কোনো দুর্যোগে ছাত্রশিবির সবার আগে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু ছাত্রশিবিরকে শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করারও সুযোগ দেওয়া হয়নি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে শিবিরের অনেক নেতা-কর্মীকে গুম-খুন করা হয়েছে। ছাত্রশিবিরের অনেক নেতাকর্মীর ছাত্রত্বও বাতিল করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্রশিবির চায় ছাত্র সংসদের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সুস্থ রাজনৈতিক ধারা তৈরি হোক। আমরা কোনো দলীয় লেজুড়বৃত্তি চাই না ক্যাম্পাসগুলোতে, কোনো গেস্টরুম কালচার চায় না ছাত্রশিবির।’

শিবির সভাপতি বলেন, ‘আমরা চাই সব ছাত্র সংগঠনের ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিত হোক। যারা এত দিন ক্যাম্পাসে সহঅবস্থানের অধিকার পায়নি, তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’

মতবিনিময় সভায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক আজিজুর রহমান আযাদ, প্রচার সম্পাদক ডা. সাদেক আব্দুল্লাহ, এইচআরডি সম্পাদক আব্দুর রহিম, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আইন সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান, স্কুল সম্পাদক সিদ্দিক আহমেদ, অর্থ সম্পাদক মিজবাহ উদ্দীন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আহমেদ তাওফিক, পরিকল্পনা সম্পাদক ডা. উসামা রাইয়ান, বিতর্ক সম্পাদক মিজবাহুল করিম, স্পোর্টস সম্পাদক আসাদুজ্জামানসহ ঢাকার বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দ।

Leave a Reply