সময়ের গর্জন প্রতিনিধিঃ রাজধানীতে বিএনপি’র ডাকা অবরোধে বিএনপি’র কর্মীশূণ্য হলেও গাড়ি চলমান রয়েছে খুবই সামান্য। সড়কে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়াও পুলিশের সাথে মাঠে চোখে পড়ার মত ছিল ক্ষমতাশীল দলের নেতাকর্মীদেরও। তবে টহল দিতে দেখা গিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ – বিজিবি ও র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন – র্যাব সদস্যদের বেশ কিছু গাড়ি।
এদিকে বিএনপি নেতাকর্মীহীন অবরোধ চললেও সড়কপথ দখল ছিলো পোশাক শ্রমিকদের অধীনে। শহরের ভিতরে ও শহরের বাহিরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তাদের আন্দোলন ছিলো নজর কাটার মত। রাজধানীর মিরপুরে গতলাকলের মত আজকেও তাদের আন্দোলন কর্মসূচি চলছে। সকাল ১০ টা নাগাদ হঠাৎ করেই একত্র হওয়া শুরু করে শ্রমিক কর্মীরা। চিড়িয়াখানা রোডের মল্লিক টাওয়ার বেশ ভালোই ভাংচুর করে আন্দোলনরত শ্রমিকরা। ঘটনা স্থলে আগে থেকেই বিএনপি ঢাকা অবরোধ প্রতিরোধ করতে পুলিশ ও ক্ষমতাশীল দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকায় আন্দোলন কোন হতাহতের ঘটনা ঘটে নাই।
আরো পড়ুনঃ নাশকতা ঠেকাতে অবরোধে মাঠে থাকবে র্যাব
তবে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে আশ-পাশের সকল বেসরকারি অফিসের কর্মচারিদের। মল্লিক টাওয়ারে অবস্থিত দেশের সুনামধন্য বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আতংকে দুপুরের মধ্যেই অফিস বন্ধ করতে বাধ্য হয় এসব প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্ট। বের হওয়ার সময় এক প্রাইভেট কর্মী সময়ের গর্জনের প্রতিনিধিদের জানায়, হঠাৎ করেই যখন পোশাক শ্রমিকরা আন্দোলন করে তখন মল্লিক টাওয়ারের সকল ফ্লোরে উঠে পড়ে। এই বিল্ডিং এ রয়েছে বেশ কিছু গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান, সেই সকল প্রতিষ্ঠানের পোশাক শ্রমিকরা আন্দোলনে গিয়েছে কিনা এবং গার্মেন্টস বন্ধ রয়েছে কিনা সেটাই দেখতে বার বার আসছিলো তারা। এক পর্যায় কর্পোরেট অফিস আতংকে বিদ্যুৎ অফ করে ও অফিস লক করে এক কোনায় সবাই আশ্রয় নেয়। ঘটনা স্বাভাবিক মনে হলে আবার সাড়ে ১২টা নাগাদ অফিস রানিং করে। বাহির হতে অফিস রানিং দেখায় আবারও উঠে পড়ে পোশাক শ্রমিকরা, তারা ভাবে এই ফ্লোরে সবই গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ দুপুর ২টার মধ্যেই অফিস ছাড়তে নির্দেষ দেয় ম্যানেজমেন্ট। উল্লেখ্য যে মল্লিক টাওয়ারের পানির লাইন, মেইন গেইট ও গ্লাস ভাংচুর করে শ্রমিকরা।
পড়ুনঃ বিএনপি’র সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না: প্রধানমন্ত্রী
এর আগে সকাল ১১টা নাগাদ গাজিপুরে ট্রাফিক পুলিশবক্স ভাংচুর করার সংবাদ পাওয়া গেছে। তাদের দাবী আদায়ে আন্দোলন হয়েছে মৌচাকেও। গাজিপুর, সাভার, মিরপুর, মৌচাক, নারায়ণগঞ্জ সবদিকে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন চলমান থাকায় নগরে তেমন গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়নি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে পোশাকশ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শ্রমিকদের ভাঙচুর না করে শান্ত থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে।